Mainus Sultan
মঈনুস সুলতান একসময় গল্প ও কবিতা লিখতেন। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে তাঁর গল্প ও কবিতা দিয়ে দুটি বইও বেরিয়েছিল। নব্বইয়ের দশকের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষা বিষয়ে লেখাপড়া করেন কয়েক বছর। এ দশকের শেষ পাঁচটি বছর কাটে তাঁর ইন্দোচীনে। লাওস বলে বিশ্ব পরিসরে স্বল্পপরিচিত দেশে একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভের দায়িত্ব পালন করেন। সহস্রাব্দের সন্ধিক্ষণে তিনি ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের অ্যামহার্স্টে। খ-কালীন অধ্যাপনার পেশায় যুক্ত থাকেন ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস এবং স্কুল অব হিউম্যান সার্ভিসেস নামক দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এ সময় শান্তির পদযাত্রায় যূথবদ্ধ মানুষদের যুদ্ধবিরোধী কাফেলায় শরিক হন। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের দখলদারি কায়েম হলে তিনি ফিবছর ওখানে যান পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনে। পেশাগত অসিলা হিসেবে লিপ্ত থাকেন কখনো ভিজিটিং প্রফেসর, কখনো প্রশিক্ষক কিংবা কনসালট্যান্ট হিসেবে। ২০১৪ সালে তাঁর জিম্বাবুয়ে Ñ বোবাপাথর সালানিনি গ্রন্থটি বর্ষের সেরা বই হিসেবে প্রথম আলো পুরস্কার পায়। একই সালে তিনি ভ্রমণ সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। লেখক বর্তমানে সিয়েরা লিওনে ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস বলে একটি কর্মসূচির সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে প্রাচীন মুদ্রা, সূচিশিল্প, পা-ুলিপি, ফসিল ও পুরনো মানচিত্র সংগ্রহের নেশা আছে।