
Brene Brown
ব্রেনে ব্রাউন (জ. ১৯৬৫) হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, গবেষক, বিভাগীয় প্রধান আর বিশ্ববিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী। তিনি একাধারে একজন গবেষক, লেখক, বক্তা, নেতা ও সমাজবিজ্ঞানী; যিনি তাঁর কাজকে সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তনের চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যবহার করেন অত্যন্ত দক্ষতা আর সাহসের সঙ্গে। এই লক্ষ্যে তাঁর চারটি কম্প্যানি কাজ করছে। সেখানে তিনি ছোটোদের এবং বড়োদের নেতৃত্ব দেন। এমনকি নেতাদের নেতৃত্ব দেবার পন্থাও শেখান। সমাজে আরেকটু স্বাচ্ছন্দ্য, স্বচ্ছতা আর সাহস আনার জন্য তাঁরা কাজ করেন। তাঁর গবেষণার কয়েকটি বিষয় : ভয়, হিম্মত, বিপন্নতা, দরদ, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তি, মানুষকে হেয় করা, লজ্জা, ঘৃণা, ক্রোধ। এসব তত্ত্বের সঙ্গে সেতু গড়ছেন বিচিত্র মানুষের সাক্ষাৎকারে পাওয়া একান্ত ব্যক্তিগত তথ্যের। তাঁর হালের গবেষণা কাজে লাগছে নানামুখী জগতে। মনস্তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, সংগঠন, বহুজাতিক কম্প্যানি, স্বাস্থ্যসেবা, ভালো থাকার যে-কোনো ক্ষেত্রে। তাঁর কয়েকটি জরুরি আর বিখ্যাত বই গিফটস অভ ইম্পারফেকশন (২০১০), ডেয়ারিং গ্রেটলি (২০১২), রাইজিং স্ট্রং (২০১৫), ব্রেভিং দ্য উইল্ডারনেস (২০১৭) এবং ডেয়ার টু লিড (২০১৮)। ব্রেনে নিছক গবেষণার জন্য গবেষণা করেন না, লেখার জন্য লেখেন না; এইসবের মূলে রয়েছে তাঁর সারা জীবনের গভীর মানুষী অভিজ্ঞতা ও নিজেকে খুঁজে ফেরার তীব্র তাগিদ। সেকথা তিনি আমাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন। ব্রেনের সাক্ষাৎকার, ২০১০ সালের টেড-টক আর তাঁর উদ্ধৃতি ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। টেড-টকটি অন্তত তিন কোটি বার দেখা হয়েছে। টেড-টকের ইতিহাসে এই ঘটনা অভূতপূর্ব। এই বইটি তাঁর ব্রেভিং দ্য উইল্ডারনেস : দ্য কোয়েস্ট ফর ট্রু বিলংগিং অ্যান্ড দ্য কারেজ টু স্ট্যান্ড অ্যালোন (Braving the Wilderness : the Quest for True Belonging and the Courage to Stand Alone) নামে ২০১৭ সালে প্রকাশিত, বিপুলখ্যাত বইয়ের কিছুটা সংক্ষেপিত অনুবাদ। বাংলায় সম্ভবত এটি তাঁর প্রথম তর্জমা।